Friday, May 29, 2015

“বাইবেলের আলোতে হিন্দুধর্ম”।



এক্সোডাসের 23 উল্টান। বাইবেলের দ্বিতীয় বইটি হল এক্সোডাস। অধ্যায় নং 23। আজ সকালে আমি হিন্দুদের অসত্য ধর্মের বিরুদ্ধে প্রচার করতে চাই। “বাইবেলের আলোতে হিন্দুধর্ম”। এখন যেহেতু আমরা এর মধ্যে প্রবেশ করছি, আপনাকে আমার বলে দেওয়া প্রয়োজন যে হিন্দুধর্ম পৃথিবীর সবথেকে বড় ধর্মগুলির মধ্যে অন্যতম, যদিও আমরা এটিকে সেরকম মনে নাও করতে পারি। বাস্তবে, একটি জনসংখ্যাতাত্ত্বিক সমীক্ষা অনুসারে, বিশ্বে 2.2 বিলিয়ন খ্রীস্টান, মোটামুটি বিশ্বের জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ, এবং ক্যাথলিক ধর্মমত এবং অন্যান্য খ্রীস্টধর্মের ভুল শাখা অন্তর্ভুক্ত করতে অবশ্যই তারা খুব ঢিলেঢালাভাবে খ্রীষ্টান শব্দটি ব্যবহার করে থাকেন। অর্থাৎ বিশ্বের জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ, তাহলে 1.6 বিলিয়ন মুসলমান, যা বিশ্বের জনসংখ্যার 23%, এবং এই বিশ্বে 1 বিলিয়ন হিন্দু বা বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় 15%, আমি বোঝাতে চাইছি এটি একটি বিশাল সংখ্যা। I বিলিয়ন হিন্দু। এখন আমরা যে যুগে বাস করি, সব ধর্মকে একত্রিত করার প্রচুর শক্তি লিপ্ত আছে, বিশ্বে একটি ধর্ম, একটি সরকার,“নতুন পৃথিবীর জন্য” খ্রীষ্ট শত্রুদের আন্দোলনের একটি প্রস্তুতির মতো। এমনকি কিছু খ্রীষ্টান শিক্ষক বলতে শুরু করেছেন, “ওহে, হিন্দুরা আসলে আমাদের মতো”।

আসলে, বেশী দিনের কথা নয় আমি পদব্রজে সেডোনা গিয়েছিলাম, এবং সেখানে একজন হরে কৃষ্ণের সাথে আমার দেখা হয়েছিল, এবং তাঁরা আমাকে হিন্দুধর্মে নিযুক্ত করার চেষ্টা করছিলেন। তাঁরা আত্মা-জয় (সোল উইনিং)এর হিন্দু সংস্করণ করছিলেন। এবং তাঁরা আমাকে বলার চেষ্টা করছিলেন, “ওঃ, আমরা খ্রীষ্টে বিশ্বাস করি”, হিন্দু ধর্ম এবং খ্রীষ্টান ধর্মের মধ্যে খুব ভালো সংযোগ আছে এবং সেই মতো আচরণ করি এবং ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু আমি আপনাদের বলতে এসেছি যে হিন্দু ধর্ম একটি মিথ্যা ধর্ম, এবং জোয়েল অস্টিন, যিনি টিভি, রেডিও-তে সবথেকে জনপ্রিয় “খ্রীষ্টান”... যার প্রচুর অনুসরণকারী আছে, তার একটি উদ্ধৃতি দিয়ে আমি শুরু করি। এবং তিনি যা বলেছেন, “ আমি ভারতে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেছি। আমি প্রচুর হিন্দু লোকের সাথে থেকেছি। তাঁরা খুব ভালো, দয়ালু লোক যারা ঈশ্বরকেও ভালোবাসেন”। এখন ব্যাপারটি হলঃ আমি নিশ্চিত তাঁরা ভালো, দয়ালু কিন্তু এটা বলতে হয় যে হিন্দুদের ইশ্বরের প্রতি ভালোবাসা মিথ্যা কারণ তাদের বাইবেলের ঈশ্বর নেই, এবং বাইবেল এটাই বলে যে একটিই সত্যিকারের ঈশ্বর বর্তমান, এবং আর যে সব ঈশ্বর আছেন তাঁরা মিথ্যা। তিনি আরো বলেছেন, যখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হল, যীশুখ্রীষ্টে বিশ্বাস না থাকার জন্য তাঁরা নরকে যাবেন কিনা, তখন তিনি বলেননি যে তারা নরকে যাবেন। তিনি বলেছিলেন, “আমি জানি না। তাঁরা ঈশ্বরকে এতোটাই ভালোবাসেন। আমি জানি না”। দেখা যাক বাইবেলে কি বলেছে। এখন হিন্দু ধর্ম অনুসারে....প্রথম প্রসঙ্গ দিয়ে শুরু করা যাক। হিন্দু ধর্ম অনুসারে, ইশ্বরকে যে কোনও নামে ডাকা যেতে পারে। হিন্দু ধর্ম সম্বন্ধে বলা যায় যে এই ধর্মে অনেক ঈশ্বর এই ভাবে তাঁরা পরিচিত হয়ে থাকেন। লোকেরা বলবেন যে লক্ষাধিক ঈশ্বর আছেন, কিন্তু আসলে, বেশীরভাগ হিন্দু যাঁদের সাথে আপনি কথা বলবেন একটি ঈশ্বরকেই পূজা করেন, এবং তাঁরা ভাবেন যে তাদের ঈশ্বরই সত্যিকারের ঈশ্বর, কিন্তু অন্যান্য সকল হিন্দুরা যে সব ঈশ্বরের পূজা করেন তাতেও তাঁরা একমত কারণ তাঁরা একই ধর্মের একই ঈশ্বরের ভিন্ন রূপ মাত্র। তাঁরা তাদের ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন, কিন্তু তাঁরা মনে করেন অন্য নামেও তার ওপর বিশ্বাস করা যায়। ঈশ্বরের নাম কি সেটি ব্যাপার নয় - এটি হিন্দু ধর্মের আলাদা ব্যাপার গুলির মধ্যে একটি। ঈশ্বরের নাম তাদের কাছে শুধুমাত্র সেরকম গুরুত্বপূর্ণ নয়।

তাহলে, বাইবেল যা শেখায় তার সাথে এটিকে তুলনা করা যাক, এক্সোডাসের 23:13 দেখুন। বাইবেলে বলে, “আমি তোমাদের যে সব বিষয়ে সতর্ক হতে বলেছিঃ এবং অন্যের ঈশ্বরের নাম কখনও উল্লেখ কোরও না, এটা যেন তোমাদের মুখ থেকে উচ্চারিত না হয়”। সুতরাং বাইবেলে আমাদের বলছে, আমাদের মিথ্যা ঈশ্বরের নাম মুখে আনা উচিত নয়। তাহলে এটি কি বলছে, “ ওহে, ঈশ্বরকে তুমি যে নামে চাও ডাক”? না, উনি বলছেন অন্য ঈশ্বরের নাম ব্যবহার কোরো না - এমনি তাদের নামও কোরো না। বাইবেলের ওল্ড টেস্টামেন্টের(ডিউটেরোনমি)অধ্যায় নং 12 দেখুন, এবং যখন আপনি বাইবেলের ওল্ড টেস্টামেন্টের অধ্যায় নং 12 ওল্টাবেন, আমি আপনার জন্য বাইবেলের ওল্ড টেস্টামেন্টের 18:20 পড়ব "কিন্তু প্রোফেট, যিনি আমার নামে সুসমাচার প্রচার করার বিষয়ে অনুমান করবেন, যা আমি তাকে বলার জন্য আদেশ করি নি, বা যিনি অন্যের ঈশ্বরের নামে বলবেন, সেই প্রোফেট মারা যাবেন। এটি শুনুনঃ জসুহা 23:7 “তোমরা এই সম্প্রদায়ের মধ্যে না থাকলেও, তোমাদের মধ্যে এখনও কিছু লোক আছে; কখনও তাদের ঈশ্বরের নাম উল্লেখ কোরো না,” আপনারা কি এটা শুনলেন? তাদের ঈশ্বরের নাম উল্লেখ কোরো না। তিনি বলেছেন, “তাদের কাছে শপথ নেবার প্রয়োজন নেই, তাদের সেবাও কোরো না, তাদের কাছে নিজেকে নতও কোরো নাঃ কিন্তু তোমার ঈশ্বর প্রভুর প্রতি ভক্তিশীল থাক, যা এতদিন তোমরা করে এসেছ।” বাইবেলের ডিউটেরোনমি 12:1 এর দিকে তাকান। এতে বলে, “এগুলি হল বিধি এবং নিয়ম, তুমি পৃথিবীতে যতদিন বেঁচে থাকবে ঈশ্বর সদা প্রভু তোমাদের পূর্বপুরুষদের অধিকারের জন্য যা দিয়েছেন, তোমরা তা পৃথিবীতে নিষ্ঠা সহকারে পালন করবে। উচু পর্বতের ওপর, পাহারের উপর এবং প্রত্যেক সবুজ গাছের নীচে যেখানে তোমাদের সম্প্রদায় ঈশ্বরের সেবা করতেন, তোমরা সেই সব জায়গা একেবারে ধ্বংস করবে। তোমরা তাদের বেদীগুলো ভূপাতিত করবে, এবং তাদের থামগুলি ভঙ্গ করবে এবং আগুন দ্বারা তাদের মূর্তিগুলি পুড়িয়ে দেবে; এবং তোমরা তাদের ঈশ্বরের মূর্ত্তিগুলো কুচি কুচি করে কেটে ফেলবে,” এটি দেখুন! “এবং সেই জায়গা থেকে তাদের নামগুলি মুছে দিন। তোমরা অবশ্যই তোমাদের ঈশ্বর প্রভুর ক্ষেত্রে তা করবে না।” সুতরাং সেখানে তিনি অসত্য ঈশ্বরের নাম ধ্বংস করতে বলছেন। এমনকি অসত্য ঈশ্বরের নাম উল্লেখও কোরো না। ঐ নামগুলি তোমার মুখেও আনতে দিও না। তাই বসুন এবং বলুন, “ওঃ, তারা কি নামে ঈশ্বরের পূজা করেন সেটা ব্যাপার নয়, যতক্ষন তারা একজন ঈশ্বরের পূজা করছেন, তাহলে উনি একই ঈশ্বর।” ভুল। উনি একই ঈশ্বর নন যতক্ষন না তার সঠিক নাম থাকে, এবং সেই নামটি হল যীশু। যীশু সকল নামেরর উর্দ্ধের নাম।

এখন আপনি যদি ফিলিপিয়ানসের অধ্যায় 2 -এ যান। ফিলিপিয়ানসের অধ্যায় নং 2। দেখুন, কেউ শুধুমাত্র এক ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন বা এক ঈশ্বরকে পূজা করেন বা স্বীকার করেন যে একজনই ঈশ্বর আছেন, তার মানে এটা দাঁড়ায় না যে উনি বাইবেলের ঈশ্বরকে পূজা করেন। শুধুমাত্র সেইজন্য কেউ বলেছেন, “ইশ্বর তোমাদের মঙ্গল করুন,” এর মানে এটা নয় যে তারা বাইবেলের মহান প্রভুর নামে, আব্রাহাম, আইজ্যাক এবং জ্যাকবের ঈশ্বরের নামে এবং আমাদের পিতা মহান প্রভু যীশুর নামে তোমার মঙ্গল করছেন। বাইবেল আমাদের বলে, যখন তুমি বল “ঈশ্বর” তার মানে এই নয় যে তুমি আসল ঈশ্বরের কথা বলছ কারণ অন্যান্য সম্প্রদায়ের মিথ্যা ঈশ্বর আছে। ফিলিপিয়ানসের 2 এ বাইবেল নয় নম্বর ভার্সে নামটি কি তা পরিস্কার বলেছে। “ঈশ্বর কেন আরো উঁচুতে তাকে তুলে ধরেছেন, এবং তাকে একটি নাম দিয়েছেন যা সকল নামের উর্দ্ধে। যীশুর নামে স্বর্গের, মর্তের বা পাতালের প্রতিটি জিনিসের হাঁটু নোয়ানো উচিত; আর প্রত্যেকের মুখে স্বীকার করা উচিত যে যীশু খ্রীষ্ট প্রভু, ঈশ্বর মহিমান্বিত পিতা”।

রোমান 10 ওলটাও এবং যখন আপনি রোমান 10 দেখছেন, আমি আপনাকে ভার্সের বিখ্যাত বিধান 4:12: পড়ে শোনাব। “অন্য কোথাও মুক্তির কোনও উপায় নেইঃ কারণ আর অন্য কোন নাম স্বর্গের অধীনে মনুষ্যদের মধ্যে দেওয়া নেই, যাতে আমরা রক্ষা পেতে পারি।” জন 1 , 5:13: “এই বিষয়গুলি আমি তোমাদের জন্য লিখেছি যে ঈশ্বরের পুত্রের নামের ওপর বিশ্বাস রাখ; তুমি জানতে পার যে তোমার শাশ্বত জীবন আছে এবং তুমি ঈশ্বরের পুত্রের নামের উপর বিশ্বাস রাখতে পার।” নামের ওপর বারংবার জোড় দেওয়াটা লক্ষ্য করুন: নামের ওপর বিশ্বাস, এটি অবশ্যই যীশুর নাম হতে হবে…. এবং কি মজার বিষয়: এমনকি লোকে বলছে তাও আমি শুনেছি….শুনুন আমি এই সকালে এটি প্রচার করছি তার একটি কারণ আছে কারণ আপনি এখন শুনে থাকবেন স্বাধীন ব্যাপটিস্টরা এইসব উদ্ভট জিনিস বলেন। একটি বিরাট অধঃপতন ঘটছে এবং আপনি শুনে থাকবেন স্বাধীন ব্যাপটিস্টরা এরকম বলছে, “ওঃ, এই দ্বীপের বা অন্য দেশের এইসব লোকেরা, তারা শুধুমাত্র আকাশের দিকে তাকায়, এবং ঈশ্বরকে ডাকে, এবং এমনকি তারা যীশুর নাম পর্যন্ত জানে না, কিন্তু তারা রক্ষা পায় কারণ তারা ঈশ্বরকে ডাকেন, যেভাবেই হোক না কেন। না, বাইবেল বলে, “প্রভুর নাম ধরে যে ডাকবে সেই রক্ষা পাবে।”

কি সেই নাম? ঠিক আছে, রোমান 10:9 দেখুন। রোমান 10:9 -এ বলেঃ “যে যদি তুমি তোমার মুখে প্রভু যীশুকে স্বীকার করো, এবং তুমি তোমার অন্তরে বিশ্বাস রাখো যে ঈশ্বর মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত করেছেন, তাহলে তুমি রক্ষা পাবে। কারণ মানুষ অন্তরে ন্যায়পরায়ণতার প্রতি বিশ্বাস করার জন্য এবং মুখে বিশ্বাসের কথা স্বীকারের সঙ্গে মুক্তির অভিমুখে চালিত হয়। কারণ শাস্ত্র বলছে, কেউ তাকে বিশ্বাস করলে কখনও লজ্জায় পড়বে না। কারণ ইহুদী এবং গ্রিকদের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই: সকলের জন্য যারাই প্রভুর প্রার্থনা করেন তারা সকলেই সমৃদ্ধ হন। কারণ যারাই প্রভুর নাম ধরে ডাকেন তারাই রক্ষা পায়।” আমি ভার্সের 10,11,12 এবং 13 র শুরুতে “কারণ” শব্দটি নির্দেশ করতে চাই। আপনি কি এটি দেখেছেন? এটি একটি সংযোগকারী যা আমাদের আধুনিক মাতৃভাষায় হবে “কারণ”। আমরা ব্যবহার করব “কারণ”। 9 নম্বর ভার্সে, তিনি একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, “যে যদি তুমি তোমার মুখে প্রভু যীশুকে স্বীকার করো, এবং তুমি তোমার অন্তরে বিশ্বাস রাখো যে ঈশ্বর মৃতদের মধ্য থেকে তোমাকে জীবিত করেছেন, তাহলে তুমি রক্ষা পাবে।” ঠিক আছে, প্রশ্ন কর, “কেন”? কেন প্রভু যীশু সেটি আপনাকে নিজ মুখে স্বীকার করার জন্য রক্ষা করবেন এবং আপনার অন্তর থেকে বিশ্বাস করাবে ঈশ্বর মৃতদের মধ্য থেকে আপনাকে জীবিত করেছেন? কেন সেটি আপনাকে রক্ষা করে? ঠিক আছে 10 নম্বর ভার্স আমাদের বলে কারণ “মানুষ অন্তরে ন্যায়পরায়ণতার প্রতি বিশ্বাস করার জন্য এবং মুখে বিশ্বাসের কথা স্বীকারের সঙ্গে মুক্তির অভিমুখে পর্যবসিত হয়। “ভার্স 11 আমাদের বলে কারণ শাস্ত্র বলছে, কেউ তাকে বিশ্বাস করলে কখনও লজ্জায় পড়বে না।” কারণ (ভার্স 12) “ইহুদী এবং গ্রিকদের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই: সকলের জন্য যারাই প্রভুর প্রার্থনা করে তারা সকলে সমৃদ্ধ হন। এবং তারপর 13 নম্বর ভার্সে, এর কারণ “যিনি প্রভুর নাম ধরে ডাকবেন তিনি রক্ষা পাবেন”। সুতরাং, 13 নম্বর ভার্সে প্রভু হলেন “যীশু”। যখন তিনি বলেন, “যিনি প্রভুর নাম ধরে ডাকেন রক্ষা পাবেন”, এরপর 9 নম্বর ভার্সে ফিরে যান যেখানে এটি বলে “আপনার নিজ মুখে স্বীকার করুন প্রভু যীশু।” সেই নাম “যীশু” যা নিউ টেস্টামেন্টে পরিত্রানের সাথে সম্পর্কিত।

এখন যখন আব্রাহাম প্রভুর নাম ধরে ডাকলেন, তিনি “সর্বশক্তিমান ঈশ্বর” নামে ডাকলেন। এটিই ছিল সেই নাম যার দ্বারা তিনি প্রাথমিক ভাবে আব্রাহাম, আইজ্যাক এবং জ্যাকোব গোষ্ঠীদের কাছে পরিচিত ছিলেন। তারা ডাকতেন “সর্বশক্তিমান ঈশ্বর”। যখন ডেভিড প্রভুর নাম ধরে ডাকা সম্পর্কে বলেন, তিনি ডাকছেন “জেহোভা” নামে, এবং নিউ টেস্টামেন্টে, ঈশ্বর মানউষের জন্য যে নামটি দিয়েছেন, যাতে আমরা অবশ্যই পরিত্রান পেতে পারি তা হল “যীশু”। শুধু তাই নয়, “ঈশ্বর”, কোনও “অতিমানব” নয়, যীশু নিজেই

। এখন জোয়েল অস্টিন বলেছেন যে হিন্দুরা ঈশ্বরকে ভালবাসেন এবং পূজা করেন, এর জন্য তিনি বিশ্বাস করতে পারেন না যে তারা নরকে যাবেন, বা তিনি সত্যিই জানেন না কারণ তারা শুধুমাত্র ঈশ্বরকে খুব ভালবাসেন, এবং তাঁর বাবা সেখানে গিয়েছিলেন এবং বলেছেন তারা ঈশ্বরকে খুব ভালবাসেন এবং তিনিও বলেন তারা ঈশ্বরকে খুব ভালবাসেন। ঠিক এখনি আমার আপনাকে বলা প্রয়োজন এবং আপনাকে প্রমাণ করে দেওয়া প্রয়োজন যে হিন্দুদের ঈশ্বর আসলে একটি আস্ত শয়তান। আমি আক্ষরিক ভাবে এটি বোঝালাম, এবং আমি এটি আপনাকে প্রমাণ করে দেব। করিন্থিয়ান 10 এর 1 এ যান। আমি আপনাকে এটি বিভিন্ন ভাবে প্রমাণ করে দোব, কিন্তু করিন্থিয়ান 10 এর 1 এ যান। এবং আপনি বলুন, “ আমি ভারতের লোকদের ঘৃণা করি”, বা “আমি হিন্দুদের ঘৃণা করি”। না! আমি তাদের ভালবাসি। এই জন্যই আমি তাদের সুবুদ্ধি দিচ্ছি। তাদের প্রভুর নাম ধরে ডাকা দরকার এবং রক্ষা পাওয়া দরকার। তাদের যীশু খ্রীষ্টের নাম স্বীকার করা দরকার। তাদের অহংকার, মূর্তি এবং মিথ্যা ঈশ্বরের থেকে বেড়িয়ে আসা প্রয়োজন, এবং তাদের জীবন্ত এবং আসল ঈশ্বরের কাছে আসা প্রয়োজন, এবং যদি আমরা তাদের ভালবাসি তাহলে আমরা তাদের সত্যটি বলতে যাচ্ছি যে হিন্দু ধর্ম হল ধ্বংসের একটি পথ এবং নরকের একটি পথ, এবং তাদের বাঁচতে হলে প্রভু যীশু খ্রীষ্টের ওপর বিশ্বাস থাকা প্রয়োজন। আজ হিন্দুদের জন্য এটিই হল ভালবাসার বার্তা।

কোরিন্থিয়ান্স 10:19 এর 1 এ বাইবেল বলেছে, “এতক্ষণ আমি কি বলেছিলাম? যে মূর্তি হল কোনও একটা জিনিস, বা মূর্তির কাছে উতসর্গ করা কোনও জিনিস? কিন্তু আমি বলব, যে অইহুদীরা যা উৎসর্গ করেন, তারা তা শতানের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেন ঈশ্বরকে নয়ঃ এবং আমি চাইব না যে আপনি শয়তানকে অনুসরণ করুন”। সুতরাং তিনি যা বলছেন তা হল যে মুর্তির দিকে তাকিয়ে থাকা এবং তাঁর সম্বন্ধে ভাবা একটি কাঠের বা পাথরের চাই এর মত সহজ। এটি সত্যিই কিছুই নয়। এটি একটি জড় পদার্থ। কিন্তু পল এখানে বলছেন যে এটি তাঁর থেকেও গুরুতর কারণ যখন তারা কোনও মূর্তির কাছে মাথা নত করছে। এটি শুধুমাত্র একটি জড় পদার্থকে পূজা করাই নয়, প্রকৃতপক্ষে তারা শয়তানকে পূজা করছে। এটি সেই বিষয় যা 20: নম্বর ভার্সে বলা আছে। “আমি বলব, যে ইহুদীরা যে জিনিস উতসর্গ করে,” এবং ভারতীয়রা হল ইহুদী। যেসব জিনিস ইহুদীরা উৎসর্গ করেন, তারা তা শতানের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেন ঈশ্বরকে নয়ঃ এবং আমি চাইব না যে আপনি শয়তানকে অনুসরণ করুন”। আসলে, যদি আপনি “ঈশ্বর সমূহ” শব্দটি দেখেন, বহুবচন, ছোট হাতের “ঈশ্বর সমূহ” – সেটি হল বহুবচন। আপনি কি জানেন যে সমগ্র বাইবেলে যে শতাধিক বার এটি ব্যবহৃত হয়েছে এটি কি বোঝাচ্ছে? এটি শয়তানকে বোঝাচ্ছে। এটি খারাপ আত্মাকে বোঝাচ্ছে। এটি মিথ্যা ঈশ্বরকে বোঝাচ্ছে। মিথ্যা ঈশ্বর আসলে মন্দ আত্মা বা শয়তান যা ঈশ্বরকে মূর্ত করে এবং যা মিথ্যা ধর্মের মাধ্যমে পৃথিবীকে অন্ধ করে দেয়।

আমি আপনার জন্য হিন্দু ধর্মের প্রধান দেবতার নাম করব না কারণ বাইবেলে বলেছে তাদের নাম পর্যন্ত মুখে আনবে না। বাইবেল বলছে তাদের নাম যেন তোমাদের মুখ থেকে উচ্চারিত না হয়, কিন্তু হিন্দুরা প্রধানত তিনটি দেবতার উপাসনা করে। আমি আপনাকে যা বোঝাতে চাই তা হল তারা একই ধারণতে বিভিন্ন দেবতাদের পূজা করেন না। কিছু নির্দিষ্ট সংখ্যক হিন্দু – তাদের মধ্যে একজন হচ্ছে তাদের প্রধাণ দেবতাঃ একজন যার নাম “ভি” দিয়ে শুরু হয়। তারপর অন্য হিন্দুরা, একজন যার নামে “শি” আওয়াজ দিয়ে শুরু হয় তাদের প্রধান দেবতা। তারপর অন্য আর এক জন যার নাম “ডি” দিয়ে শুরু হয় – প্রধান দেবতা। হ্যাঁ, তাদের আবার বিভিন্ন উপশাখা আছে এবং লক্ষাধিক বিভিন্ন নাম, ঘটনাবলী, বা অবতার বা যাদের তারা দেবতা বলে মনে করে, কিন্তু এর নির্যাস হল হিন্দু ধর্মের মধ্যে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মত। তারা এরকম বলেন, “দেখ, আমাদের দেবতাই সর্বশ্রেষ্ঠ, বা মুখ্য শক্তিধারী দেবতা। অন্যেরা বলেন,“দেখ, ঠিক তা নয়, আমরা তাঁর পূজা করি কারন তিনি তুলনামুলক ভাল”, বা এরকম কিছু।

কিন্তু দিনের শেষে, তাঁরা অন্য দেবতাতেও ঠিক আছে, কারণ তারা সকলেই “হিন্দু ধর্মের অংশ, যতক্ষন পর্যন্ত আপনি….হিন্দুরা যেভাবে এটিকে দেখে আমার পড়াশুনা এবং ধারণায়, “আপনি হয় হিন্দু, বা আপনি হিন্দু নন”। এবং যদি আপনি অন্য দেবতাকে পূজা করেন, যতক্ষন আপনি ধর্ম এবং বেদ এবং অন্যান্য যাতে তারা বিশ্বাস করেন তাঁর সাধারণ শিক্ষাগুলি মেনে চলছেন, তাহলে আপনি ভাল। আপনি হলেন হিন্দু। আমরা আপনাকে গ্রহন করব যদি আপনি ঈশ্বরকে আলাদা নামেও ডাকেন কারণ নামটা অতটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। ঠিক আছে, আমরা বাইবেলে দেখেছি যে নামটি সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ।

কিন্তু তাদের প্রধাণ দেবতা সম্বন্ধে আপনাকে কিছু বলা যাক। তিনি যার নাম “ভি” দিয়ে শুরু – শুধু তাঁর ছবিটার দিকে তাকান। তিনি একটি সাপের উপর দাঁড়িয়ে আছেন, এবং তাঁর মাথার উপর সবসময় এই 5 কেউটে সাপগুলি থাকে। এটি হল নাগ ধর্ম! বাইবেলে শয়তান বলতে সবসময় কাকে বোঝানো হয়? সে হল সাপ। সে হল সেই বৃদ্ধ সাপ, শয়তান, ড্রাগন। এবং আপনি যদি তাদের দেবতার দিকে তাকান – প্রধান দেবতা, সবথেকে জনপ্রিয়, বিরাট দেবতা যা “ভি” দিয়ে শুরু – তাঁর মাথার ওপর 5 টি কেউটে সাপ এবং তিনি একটি সাপের উপর দাঁড়িয়ে আছেন। তারপর আপনি দ্বিতীয় সবথেকে জনপ্রিয় দেবতাকে দেখেন এবং একই জিনিস দেখবেনঃ চারিদিকে সাপ। মাথার খুলি, আগুন, সাপ। আপনি শুধু এটির দিকে তাকান, আপনি দেখবেন যে এটি অমঙ্গলজনক।

শুধু তাই নয়, সেই দেবতাটি যেটি “শি” আওয়াজ দিয়ে শুরু হয় ইহুদীধর্মের মিথ্যা ঈশ্বরের মতোঃ পুরুষ এবং নারী উভয়ই। সেটি বাইবেলের ঈশ্বর নন। বাইবেলের ঈশ্বর সর্বদা “পুরুষ”। তিনি পিতা, পুত্র এবং পবিত্র আত্মা। তিনি নিজের মত মানুষ তৈরীতে নিয়োজিত, ইত্যাদি। তাদের এই রকম দেবতা যিনি নারী এবং পুরুষ উভয়ই। হিন্দু ধর্মের সবথেকে জনপ্রিয় দেবাতাদের মধ্যে একজনের অপর একটি দিক হল যে তিনি অল্পতেই ক্রুদ্ধ হন। তিনি অল্পতেই ক্রুদ্ধ হন, কিন্তু দ্রুত শান্ত হন এবং দ্রুত ক্ষমা চান। ঈশ্বর ঠিক বিপরীত কারণ বাইবেল নহূম 1:3 তে বলেছে, “প্রভু খুব দেরীতে ক্রুদ্ধ হন, এবং শক্তিতে ভরপুর, এবং শয়তানদের কখনও সহজে ছেড়ে দেন নাঃ প্রভু ঘূর্ণিঝড় এবং ঝড়ের মধ্যে তার পথ করেছেন, এবং মেঘেরা তা পায়ের ধূলো।

আবার, আপনি লক্ষ্য করে থাকবেন যে হিন্দু দেবতাগণ, যখন আপনি তাদের ছবির দিকে তাকাবেন, তাঁরা প্রায়ই হয় একটি কাটাওয়ালা দন্ড বা ত্রিশূল ধরে আছেন, এগুলি একটি প্রতিভূর লক্ষন যা আমরা একটি শয়তানের ক্ষেত্রে কল্পনা করে থাকি - একটি কাটাযুক্ত দন্ড ধরে আছে। সাপ, মাথার খুলি এবং একটি কাটাযুক্ত দন্ড সমেত একজন পুরুষ। এই হল তাদের দেবতা। এটি একটি দুষ্ট ধর্ম। এবং তারপর তৃতীয় সবথেকে জনপ্রিয় - ঐগুলি ছিল প্রথম ও দ্বিতীয় সবথেকে জনপ্রিয় - তারপর তৃতীয় জনপ্রিয় হলেন একজন নারী ঈশ্বর যার পূজা আক্ষরিকভাবে মানুষের আত্মাহুতি। এখন আধুনিক যুগে অবশ্যই তারা এটি করতে তাদের অনুমতি দেন না, কিন্তু আগেকার দিনে তাঁরা করতেন। ভারতের অনেক অংশে এই মিথ্যা ঈশ্বরের কাছে তাঁরা মানুষের আত্মাহূতি দিত, এমনকি প্রত্যেক সপ্তাহে, এবং রক্ত পান করা...দেখা যাক...রক্ত পান এবং একজন নারী ঈশ্বরের পুজা, হুম, আর একটি ধর্মের কথা আমি জানি, এখান থেকে তিন মাইল দূরে। গুয়াডালুপের দিকে হতে পারে...কিন্তু থাকঃ ক্যাথোলিসিজিম শয়তানেরা কিভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে তাদের মিথ্যা শিক্ষা নিয়ে প্রকাশ করছে, যেখানে তাঁরা একটি মহিলা দেবতার এই মিথ্যা উপাসনা শেখাচ্ছে ...এটা কি আশ্চর্যজনক নয়। এই রক্ত পান করা এবং অন্যান্য জিনিসগুলি এক রকমের, এবং আমরা হিন্দু ধর্মে যেরকম পেয়েছি তার সাথে অনেকটা মিল আছে।

কিন্তু জনের 8 নম্বর অধ্যায় দেখুন। আমরা শুরু করেছিলাম ইসাইয়া 43 এ। আমি আপনাকে ইসাইয়ার 43 এ একটি আঙুল এবং জনের 8 নং অধ্যায়ে অপর আঙুল রাখতে বলি কারণ এই দুটি শাস্ত্রই একই রকম এবং খুবই গুরুত্বপূর্ন। এখন কিছু লোক ইসাইয়াকে বিবেচনা করে, তারা এটিকে ছোট বাইবেল বলে কারণ এটি খুবই আশ্চর্যের বিষয় যে ইসাইয়ার 66 টি অধ্যায় আর বাইবেলের 66 টি খন্ড, লিখে প্রকাশ করা কষ্টকর, কাকতলীয় ভাবে দুটি প্রায় সমান্তরাল বা একই রকম। উদাহরণস্বরূপ, 39 অধ্যায়ের শেষে, ইসাইয়াতে একটি ব্যাপক পরিবর্তন আছে। 40-66 অধ্যায় 1-39 অধ্যায়ের থেকে একেবারে আলাদা। এটি ওল্ড টেস্টামেন্টের 39 নং বই এবং নতুন টেস্টামেন্টের 27 নং বুকের মত। 1ম অধ্যায়ে মিলও খুজে পাওয়া যায়। যদি আপনি ইসাইয়ার 5 নং অধ্যায়ের সাথে বাইবেলের ওল্ড টেস্টামেন্টের পঞ্চম অধ্যায়ের তুলনা করেন, আদি পুস্তকের সাথেও এর অনেক মিল আছে। সমস্ত রকমের মিল। জনের বই এর 43 অধ্যায়ে যা আছে, রোমান তা তাঁর বই এর 45 অধ্যায়ে উল্লেখ করেছেন এবং প্রকাশিত বাক্য এবং 66 নং অধ্যায়ের সাথে মিল আছে। এই তালিকাটি চলতেই থাকবে। এটি দারুন আকর্ষনীয়, কিন্তু একটি জিনিস আরো আকর্ষনীয় যখন আপনি জনের বই এর উদ্ধৃতির সাথে ইসাইয়া 43 এর তুলনা করবেন, যেটি একই রকম অধ্যায়। দেখুন জনের 8:24 এ বাইবেল কি বলেছে। এতে বলেছে, “আমি তাহলে আপনাকে বলি, যে তোমার পাপেই তোমার মৃত্যু হবেঃ কারণ যদি তুমি তাতে বিশ্বাস করো না যে আমিই তিনি, তুমি তোমার পাপেই মরবে”। এখানে যীশু তাতে বলতে কি বুঝিয়েছেন যখন তিনি বলছেন “যদি তুমি তাতে বিশ্বাস না কর যে আমিই তিনি, তুমি তোমার পাপেই মরবে”। বিশ্বাস কর যে আপনিই সে কারণ তিনি বলেছেন, “যদি তুমি তাতে বিশ্বাস না কর যে আমিই তিনি, তুমি তোমার পাপেই মরবে”। আমরা ইসাইয়া 43:10 দেখি, এবং বাইবেল এটি বলেঃ “প্রভু বলেন, তুমিই আমার প্রত্যক্ষদর্শী এবং আমার দাস যাকে আমি বেছে নিয়েছিঃ তুমি আমাকে জানতে পার এবং আমাকে বিশ্বাস করো, আমাকে বোঝো যে আমিই হলাম তিনিঃ আমার আগে কোনও ঈশ্বরের জন্ম হয়নি, আমার পরেও কেউ থাকবে না। আমি, একমাত্র আমি হলাম প্রভু এবং এছাড়া আর কোনোও পরিত্রাতা নেই।” সুতরাং যীশু যখন এগুলি বলেছেন কি বুঝিয়েছেন, “যদি তুমি তাতে বিশ্বাস না করো যে আমিই তিনি, তুমি তোমার পাপেই মরবে।” তিনি বলেছেন যদি তুমি বিশ্বাস না করো যে আমিই একমাত্র পরিত্রাতা, যদি তুমি বিশ্বাস না করো যে আমিই সে এবং আর কেউ নেই। এখন দেখুন, আপনি যীশুকে এবং পরিত্রান পাবার অন্য এবং অন্য পরিত্রানের অনুগ্রহকেও বিশ্বাস করতে পারবেন না। না, আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে যে, তিনি হলেন, তিনি একাই সে, অথবা তুমি তোমার পাপেই মরবে বাইবেলে বলে।

বাইবেলে বলে তুমি তোমার সম্পূর্ণ হৃদয় দিয়ে যীশুকে বিশ্বাস করবে, যীশু এবং আরো কাউকে নয়, তাই তিনি এখানে বলেছেন, “ আমিই সে এবং আর কেউ নেই। আমার আগে কোনও ঈশ্বরের জন্ম হয়নি, আমার পরেও কেউ থাকবে না। আমি, একমাত্র আমি হলাম প্রভু এবং এছাড়া আর কোনও পরিত্রাতা নেই”। তাই যখন বৈষ্ণবরা বা হিন্দুরা বা অন্য যে কেউ আপনাকে বলার চেষ্টা করেন, ওহঃ, আমরা যীশুকেও বিশ্বাস করি”, সেটাই যথেষ্ট নয় কারণ তারা কেবলমাত্র যীশুকেই বিশ্বাস করেন না তাঁরা অন্য দেবতাকে এবং মুক্তির অন্য পথ এবং অন্য ধর্মগ্রন্থকেও বিশ্বাস করেন। ওনাকে বাইবেলের যীশু হতে হবে। দেখুন, অনেক হিন্দুরা বলেন, ওহঃ, হ্যাঁ, আমরা মানি যে যীশু একজন মহান শিক্ষাদাতা,” এবং অনেক হিন্দু শেখান যে যীশু তাঁর কৈশরকালে (যদিও আপনি বাইবেলে তাঁর কৈশরকালের কথা সত্যিই কিছু পড়েননি) “ওহঃ, তিনি ভারতে গিয়েছিলেন এবং হিন্দু ধর্ম শিক্ষা লাভ করেছিলেন, এবং তারপর তিনি ফিরে আসেন এবং ইজরায়েলে একজন মহান যোগী হন। তারা এটাই বলেন। এটাই তারা শিক্ষা দেন, এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চেষ্টা করেন যে যীশু সেখানে গিয়েছিলেন এবং তাদের ধর্মে শিক্ষালাভ করেছিলেন এবং সেটিকে ফিরিয়ে এনেছিলেন, বা সেরকম কিছু, তাই তারা প্রায়ই আপনাকে বলেন, “ওঃ, হ্যাঁ, যীশু, আমরা যীশুকে বিশ্বাস করি। কিন্তু দাড়ান। ইনি কি সেই যীশু যিনি বাইবেলে আছেন? উত্তরটি হল না। এখন তারা কৃষ্ণ নামে একটি লোককে বিশ্বাস করেন, যেমন “হরে কৃষ্ণ”। তারা কৃষ্ণ নামে একটি লোককে বিশ্বাস করেন যিনি কুমারীর গর্ভজাত একজন রক্তমাংসের মানুষ। সেটি কল্পনা করুন। লোকেরা বলবেন কৃষ্ণ = খ্রীষ্ট, কিন্তু নামটি হল যীশু, শুধু খ্রীষ্ট নয়। ওনাকে অবশ্যই যীশু হতে হবে, এবং ওনাকে অবশ্যই বাইবেলের যীশু হতে হবে কারণ যীশু সেই শব্দ যা মাংস তৈরী করে।

বাইবেল বলে, “শুরুতে এটি ছিল বানী, এবং বানীটি ঈশ্বরের, এবং বানীটি হল ভগবান। বানীটি ক্ষুদায় পরিণত হল এবং আমাদের মধ্যে থেকে গেল, এবং আমরা তাঁহার মহিমা দেখলাম, পিতা ঈশ্বরের একমাত্র পুত্র হিসাবে মহিমা, দয়া ও সত্যে পূর্ণ। তাই আপনি যীশুকে এই ব্যাক্তিকে তাঁর বানী থেকে আলাদা করতে পারবেন না কারণ তিনি হলেন রক্ত মাংসের তৈরী শব্দ। তাই যদি আপনার একটা সম্পূর্ণ আলাদা বানী হয়, যদি আপনার একটা সম্পূর্ণ আলাদা ধর্মমত হয়, তাহলে আপনার যীশুও আলাদা হবে। আপনাকে বাইবেলের যীশুকে মানতে হবে এবং আপনার সকল ভরসা এবং বিশ্বাস ওনার ওপর রাখতে হবে, আর কারোর উপর নয়। শুধু তাই নয়, কারণ আমাদের মনে রাখতে হবে যে অশুভ শক্তি একটি দারুণ প্রতিদ্বন্ধি, তাই সে প্রায়ই জিনিসকে বিশ্বাসযোগ্য করার মিথ্যার সাথে অল্প বিস্তর সত্যিও মেশায়। এবং এখানেই হিন্দু ধর্ম এবং খ্রীষ্টানিটির মধ্যে কিছুটা মিল দেখতে পাওয়া যায় দুই ধর্মেই অশুভ শক্তি একটি দারুণ প্রতিদ্বন্ধি।

এখন সবথেকে আকর্ষনীয় ব্যাপার হল যে যদি আপনি হিন্দু ধর্মের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ পুরানো ধর্মগ্রন্থে ফিরে যান – তাদের বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ আছে, বেদ এবং পুরাণ এবং আরো যা কিছু – কিন্তু আপনি যদি সবথেকে পুরানোটি দেখেন, সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মগ্রন্থ, এটিকে বলা হয় মনুর আইন, এবং এর আকর্ষনীয় ব্যাপারটি হলঃ মনু একটি ছেলে যে ….., আসলে, সমগ্র পৃথিবী একটি ভয়াবহ বন্যায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল, এবং সে সকলকে সতর্ক করেছিল একটি বিশালাকার নৌকা তৈরী করতে এবং ঐ নৌকায় উঠতে, তাই সে ঐ বন্যা থেকে বেঁচে গিয়েছিল এবং তারপর এই পৃথিবীর সকল মানুষ তার থেকেই সৃষ্টি হয়। এটি কি একইরকম শোনাচ্ছে? এটি ঠিক নোয়া-র মতো এবং মজার কারণ “মনু” এবং “নোয়া”-র মধ্যে আপনি দেখবেন নামের মিল আছে, এবং এই বইটি 1000-2000 খ্রীষ্ট পূর্বাব্দে নিয়ে যায়। এই বইটি প্রায় 3,000-4,000 বছর আগে লেখা, এবং এটি কি আশ্চর্যের ব্যাপার নয় যে এটি সেই কথাই বলে যে ঈশ্বর বন্যা দিয়ে পৃথিবীকে ধ্বংস করেছেন। একজন ব্যাক্তি সমগ্র মানবজাতির পূর্বপুরুষ।

এখন এটি আকর্ষণীয় যে বিশ্বের নাস্তিক এবং উপহাসকারীরা দেখবেন এবং বলবেন, “ওহে, দেখ, খ্রীষ্টানিটি অন্য ধর্মগুলিকে নকল করে”, কিন্তু এটি এইজন্যই কারণ তাঁরা শয়তানের দ্বারা অন্ধে পরিণত হয়েছেন তাই এই স্পষ্ট ব্যাপারটি দেখতে পাচ্ছেন না। এটি আপনার মুখমন্ডলের উপর আপনার নাকের মতই মসৃন, এই জন্যই পৃথিবীর বিভিন্ন ধর্ম বন্যা সম্বন্ধে এই একই কথা বলে, যা সত্যই ঘটেছিল! এটি বলা খুবই বোকার মতো, “ ওঃ, তাঁরা এই গল্পটি ধার করেছিল”। না। সারা পৃথিবী জুড়ে বিভিন্ন সংস্কৃতি, একটি অপরের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন, কিন্তু সকলের সেই একই গল্প বন্যা হয়েছিল। সুতরাং, অবশ্যই একটি বন্যা হয়েছিল, তাই তাঁরা এরকম বলছে এবং যখন বইটি লেখা হয়েছিল সেই সময়কালটিও আকর্ষনীয় কারণ যদি আপনি ভাবেন যখন বন্যা হয়েছিল, সেটি হল খ্রীষ্টের জন্মের প্রায় 2,500-2,700 বছর আগে। বিভিন্ন লোক সময়টি নিয়ে তর্ক করবে, কিন্তু আবার বলছি, ভারতের একটি বই যা 4000 বছরের পুরানো, যেটি তাদের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ শাস্ত্র, সেটি ঐ ঘটনার কথা বলে যে একটি বন্যা হয়েছিল, এবং প্রত্যেকে ঐ এক ব্যাক্তির থেকে উদ্ভূত কারণ বাকীরা বন্যায় ভেসে গিয়েছিল। এটা ঠিক যে যখন বেবেলের মিনারের ঘটনাটি ঘটেছিল, লোকেরা চারিদিকে ছড়িয়ে পরেছিলেন এবং কিছু লোক ভারতে চলে গিয়েছিলেন। তাঁরা এই গুরুত্বপূর্ণ গল্পটি সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন। আপনি যে গল্পটি বলতে যাচ্ছেন সেটি যথেষ্ট বড় গল্প, এবং তা সত্ত্বেও আপনি সেটি লিখতেও চলেছেন।

তাই শয়তান একটি বিশাল প্রতিদ্বন্ধী। তিনি বন্যা এবং নোয়া সম্পর্কিত সত্যি গল্পটি নিয়ে নেন - সত্যি গল্প, সত্যিই ঘটেছিল - কিন্তু তিনি এটিকে একটু ঘুরিয়ে দেন এবং তাঁর বই সমস্ত মিথ্যা শিক্ষা দেয়, যেখানে বাইবেল সকল সত্যি ঘটনা বলে এবং ঈশ্বর সম্বন্ধে সত্যি কথা বলে। হিন্দু ধর্ম সম্বন্ধে এটি আর একটি বড় ব্যাপার। হীব্রুসের 9 নম্বর অধ্যায়ে যান। হিন্দু ধর্মের আর একটি বড় ব্যাপার হল যে তাঁরা পুনর্জন্মলাভে বিশ্বাস করেন। এটি হিন্দু ধর্মের একটি বিশাল শিক্ষা। এটি তাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বাস। তাঁরা বিশ্বাস করেন যে মৃত্যু এবং জন্ম একটি চক্রাকারে ঘটে চলেছে এবং প্রতিনিয়ত পুনর্জন্ম হচ্ছে। পুনর্জন্ম হচ্ছে এবং আপনি করছেন কি, আপনি আপনার দ্বিতীয়, তৃতীয় বা চতুর্থ জন্মের জায়গাটি কতটা ভালো তা ঠিক করছেন। এটিই হল পুনর্জন্মের চক্র। কিন্তু বাইবেল কি পুনর্জন্মলাভ শিক্ষা দেয়? ঠিক আছে, হীব্রুসের 9:27 দেখুন। এতে বলছে, “মানুষের জন্য এটি অবশ্যম্ভাবী যে একদিন মানুষকে মরতেই হবে, এরপর হবে বিচারঃ একবার খ্রিষ্টকে অনেকের পাপ বহন করার কথা বলা হল; এবং তাদের কাছে তাহলে কি দ্বিতীয় বার তিনি পরিত্রানের পূর্বে পাপ মুক্ত ভাবে আবির্ভূত হবেন”। তাই বাইবেল বলছে মানুষের জন্য এটি অবশ্যম্ভাবী যে একদিন মানুষকে মরতেই হবে, এরপর হবে বিচারঃ কোনও পুনর্জন্ম নেই। শুধু তাই নয়, যদিও বা হিন্দুরা যীশুকে বিশ্বাস করেন বলে দাবী করেন, তাঁরা তাঁর মৃত্যু, সমাধি এবং দৈহিক পুনরুত্থানে বিশ্বাস করেন না। এটি হল বেদবাক্য। তাঁরা বিশ্বাস করেন যে যীশু মারা গিয়েছিলেন এবং পুনর্জন্ম লাভ করেছিলেন এবং পুনর্জন্ম লাভ করে চলেছেন, যখন খ্রীষ্টশত্রুগণ আসে, তাঁরা বলে, “ এই তো আবার তিনি এসেছেন! আবার পুনর্জন্ম লাভ করেছেন। এখন প্রত্যেকে....গ্যালাটিয়ান্স 6 এ যান....প্রত্যেকে “কর্ম” শব্দটি শুনেছেন”। এটি হিন্দু ধর্মের সম্ভবত অন্যতম বিখ্যাত শব্দঃ কর্ম। আমাকে এটি বলতে দিনঃ বাইবেলে বিশ্বাস করেন যিনি এটি একটি শব্দ যা খ্রীষ্টানদের ব্যবহার করা উচিত নয়, এবং আজকের আমেরিকার সংস্কৃতিতে, প্রত্যেকে কর্ম এবং ভালো কর্ম এবং খারাপ কর্ম সম্বন্ধে বলেন। আমরা কেন হিন্দু ধর্মের মতো মিথ্যা ধর্মের শব্দ ব্যবহার করব? বাইবেল বলছে পবিত্র আত্মা আমাদের যা শিখিয়েছে আমাদের সেই শব্দই ব্যবহার করা উচিত, মানুষের বুদ্ধি যা শিখিয়েছে তা নয়। পবিত্র আত্মা আমাদের যা শিক্ষা দেয় তা হলঃ গ্যালাটিয়ান্স 6:7 “ প্রতারিত হয়ো না; ঈশ্বরকে ঠকানো যায় না: একজন ব্যাক্তি যেরকম গাছ পুতবেন সেরকমই ফল হবে। ওঃ কর্মের ধরনের .... না, এটি কর্মের মত নয়! এটি গ্যালাটিয়ান্স 6:7 এর মত। বীজ বোনা এবং ফসল কাটার মত। যে বীজ আপনি বুনেছেন সেটি কাটার মত। এটি কর্মের মত নয়।

এখন “কর্ম” শব্দটির আকর্ষনটি কি, প্রকৃত ভাষায়, সংস্কৃত, প্রাচীন ভারতীয় ভাষায়, আক্ষরিকভাবে “কর্ম” মানে বোঝায় “কাজ”। কর্ম। এটি বোঝায় “কাজ” বা “কৃতকর্ম” বা “ক্রিয়াকলাপ” যা আপনি করে থাকেন। হিন্দু ধর্মে এটি কি ইন্টারেস্টিং নয়, কাজের দ্বারা মুক্তি। কারণ ভালো কাজ করা মানে আরো ভাল ভাবে পুর্নজন্ম লাভ করা, এবং তারপর তাঁরা এমন একটি জায়গায় পৌঁছায়, ঠিক স্বর্গের মত নয়, কিন্তু পুর্নজন্মের অন্তহীন চক্রটি তাঁরা শেষ করে। তাঁরা ঐ শীর্ষবিন্দুতে পৌঁছেছে, তাঁরা কিভাবে সেখানে পৌঁছালো? কর্ম। যখন তাঁরা বলেন “কর্ম” তাঁরা আক্ষরিকভাবে এটাই বলেন। তাঁরা বলেন “কাজ”। বাইবেলে বলছে মুক্তি কাজের মাধ্যমে হয়না যাতে কোনও মানুষ গর্বিত বোধ করেন”। বাইবেলে বলছে, “ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস থাকলে তাঁর অনুগ্রহের মাধ্যমে আমরা পরিত্রান পাই, নিজে থেকে নয়, এটি ঈশ্বরের আশির্বাদঃ কর্মের জন্য নয় যার জন্য আমাদের গর্ব করা উচিত,” এবং বাইবেলে পরিস্কার ভাবে বলা আছে আশির্বাদ এবং কাজ পরিপূরক নয়। কারণ “যদি এটি আশির্বাদ হয়, তাহলে কর্মের কোনও ব্যাপার নেই”। আসলে তিনি বলছেন যে যদি এটি আশির্বাদ হয়, তাহলে যা তাদের মুক্তির অভিমুখে নিয়ে যায় তা কর্ম নয়। তিনি বলছেন, “ যদি এটি আশির্বাদ হয় তাহলে কর্মের আর দরকার নেই, নচেত আশির্বাদ আর আশির্বাদ থাকে না। কিন্তু যদি সেটি কর্ম হয়, তাহলে আশির্বাদ আর নয়। নাহলে কর্ম আর কর্ম নয়। উভয়ই হতে পারে না। কিন্তু তারা বলেন, “যদি আমরা এই ভালো কাজগুলি করি, তাহলে আমরা আশির্বাদ পাব”। হিন্দুরা এই শিক্ষা দেয়। না। ভুল। তুমি কাজ করে আশির্বাদ পাও না। এটি শব্দের মধ্যে অসঙ্গতি। আশির্বাদ হল অযোগ্য আনুকুল্য। আশির্বাদ হল তা যা আপনি পাবার যোগ্য নন, এবং এটি কোনও কাজের জন্য নয় যার জন্য মানুষ গর্ব বোধ করতে পারে। তাই “কর্মঃ শব্দটি সেই শব্দ নয় যা খ্রীষ্টানরা ব্যবহার করে। আমাদের খ্রীষ্টান শব্দমালা ব্যবহার করা প্রয়োজন, হিন্দুদের শব্দমালা নয় এবং এটিকে আমাদের মানসিকতা এবং স্বদেশীয়তার মধ্যে লুকিয়ে ফেলা যাক।

থিষলনীয়ানস 4 এর 1 এ যান। হিন্দু ধর্মের আর একটি মিথ্যা শিক্ষা হল যে তারা বলেন, “মানুষ স্বর্গে যায় বা নরকে যায়, কিন্তু এটি অস্থায়ী। তারা শাস্তি পায় বা পুরস্কৃত হয়, কিন্তু তারা আবার জন্মায়, এবং তারা পুনরায় দেহ ধারণ করে, সুতরাং এটি অস্থায়ী”। কিন্তু বাইবেল শিক্ষা দেয় মুক্তি পাওয়া এবং স্বর্গে যাওয়া, এবং নরকে যাওয়া বাইবেল অনুযায়ী উভয়ই স্থায়ী অবস্থা। থিষলনীয়ানস 1 এর 4:17 দেখুন। এতে বলছে, “যখন আমরা জীবন্ত আছি এবং থাকব আমরা তাদের সাথে একত্রে মেঘের মধ্যে মিলিত হব, শূণ্যে প্রভুর সাথে মিলত হতেঃ” এটি দেখুন, “তাই আমরা চীরকাল প্রভুর সাথে থাকতে পারব।” বাইবেলে বলে একবার যদি আমরা স্বর্গে প্রভুর শরণাপন্ন হতে পারি, তাহলে আমরা চীরকাল প্রভূর সাথে থাকতে পারব। এটি ক্ষনস্থায়ী নয় “প্রভুর সাথে থাকা বা প্রভুর সাথে না থাকা”। এখন আপনি বলতে পারেন, “ঠিক আছে, তাহলে আপনি নতুন পৃথিবী এবং নতুন স্বর্গে থাকবেন, তাঁর মানে আপনি কি এই পৃথিবীতে থাকছেন না”? হ্যাঁ, কিন্তু আমরা এই পৃথিবীতে খ্রিস্টের সাথে শাসন এবং রাজত্ব চালনা করতে চলেছি, আমরা প্রভুর সাথে থাকতে চলেছি। আপনার জন্য এই মতবাদ বিশ্লেষন করে দেওয়া যাক। এটি গুরুত্বপূর্ণ যে একজন খ্রীষ্টান হিসাবে আমরা বাইবেলে যা আছে এবং স্বর্গের মতবাদ বিশ্বাস করব। তাই বাইবেলে বলছেঃ একজন উদ্ধার পাওয়া মানুষ হিসাবে যদি তোমাকে আজ মরতে হয়, এবং তোমার অন্তরে যদি যীশু খ্রীষ্ট থাকেন, এবং তুমি যদি মুক্তি পাও, যে মুহুর্তে তুমি তোমার শেষ শ্বাস নেবে, তোমার আত্মা স্বর্গে চলে যাবে। কোনও আত্মা কবরে ঘুমাবে না বা অপেক্ষা করবে না। তোমার শরীর কবরে পরে থাকবে কিন্তু তোমার আত্মা ততক্ষণাত স্বর্গে চলে যাবে কারণ বাইবেল বলছে, “শরীর ছেড়ে চলে যাওয়া মানে প্রভুর কাছে যাওয়া”। পল বলেছেন, “ আমার একটি ইচ্ছা হল সব কিছু ছেড়ে প্রভুর সাথে থাকা অনেক ভাল। আমার কাছে খ্রীষ্টের কাছে যাবার জন্য মৃত্যু লাভজনক। শরীর ছেড়ে যাওয়া মানে প্রভুর সান্নিধ্যে যাওয়া।” থিসলনীয়ানস 1 এর 4 এ এটি হল সেইটি যখন মেঘের মধ্যে দিয়ে খ্রীষ্টের আগমন হয়েছিল - যা সমাধি হিসাবে উল্লেখিত হয়। এতে বলে যারা যীশুতে মগ্ন ঈশ্বর তাদেরকে সঙ্গে করে নিয়ে আসবেন। যখন খ্রীষ্ট পৃথিবীতে ফিরে আসবেন, তিনি মেঘে চড়িয়ে তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে আসবেন, এবং তখন তাঁরা যীশুর সাথে স্বর্গে থাকবেন। তারপর যখন তিনি পৃথিবীতে তাঁর রাজত্ব স্থাপন করবেন, তখন তাঁরা ওনার সাথে এসে পৃথিবীকে শাষন করবে। অবশেষে, যখন একটি নতুন স্বর্গ এবং একটি নতুন পৃথিবী হবে, মেষশাবকটিও তাদের মধ্যে বসবাস করবে। সুতরাং একবার মুক্তি পেলে পৃথিবীতে আর পুনর্জন্ম হয় না, বা কেউ মুক্তি হারায় না, বা স্বর্গে যায় আর সেখান থেকে তাকে বের করে দেওয়া হয়, এরকম কিছু হয় না। না। একবার আপনি মুক্তি পেলে, আপনি সর্বক্ষন প্রভুর সাথেই থাকবেন। এটি স্বর্গেও হতে পারে, বা হাজার বছরের রাজত্বে বা একটি নতুন স্বর্গে বা নতুন পৃথিবীতে। যে ভাবেই হোক আপনি অনন্তকাল প্রভুর সাথেই থাকবেন। আপনি যীশুর সাথেই থাকতে চলেছেন, ব্যস। নরকও ঐ একই ভাবে। আমি এই বিষয়ে আপনাকে একটি শ্লোক পড়ে শোনাবঃ আপ্তবাক্য 20:10 “ সেই শয়তান যে তাদের প্রতারিত করবে তাঁরা আগুনের কুন্ডে এবং নরকাগ্নিতে নিক্ষেপিত হবে, যেখানে আছে জানোয়ার এবং প্রফেটরা আছে, এবং দিবারাত্র সর্বক্ষনের জন্য নির্যাতিত হবে”। আপনি শুধুমাত্র একবারের জন্যই নয়, তিনি বলেছেন, দিবারাত্র সর্বক্ষনের জন্য নির্যাতিত হবে”, শুধু এটি প্রমাণ করার জন্য যে নরক যন্ত্রনা চিরন্তন। এটি একটি সম্পূর্ণ ধর্মোপদেশ।

এবার তাহলে ডিউটারোনমির 4র্থ অধ্যায় ওলটান। আমি সিদ্ধান্ত দিতে চাই। কিন্তু আমি এটি দেবার আগে, হিন্দু ধর্মের মিথ্যা শিক্ষা গুলি একবার পর্যালোচনা করা যাক। মিথ্যা শিক্ষা গুলি কি? ঠিক আছে, এক নম্বর, তাঁরা শেখায় ঈশ্বরকে যে কোনও নামে ডাকা যেতে পারে - এটি অতটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। বাইবেল বলছে ঈশ্বরকে কি নামে ডাকা হচ্ছে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাইবেল আরো বলছে যে মিথ্যা দেবতাদের অবজ্ঞা করা উচিত, তাদের নাম উচ্চারণ করা উচিত নয়, তাদের নাম উল্লেখ করা উচিত নয়, তাদের নাম ভুলে যাওয়া উচিত এবং মুছে ফেলা উচিত। এটিই হল তা যা অন্য দেবতদের নাম সম্পর্কে বলেছে। এটি একটি প্রধান ভুল শিক্ষা। দ্বিতীয়, তাঁরা পরিত্রাতা,সর্বশক্তিমান, প্রকৃত ঈশ্বর হিসাবে যীশুর নাম স্বীকার করেন না। তৃতীয়, আমরা দেখিয়েছি হিন্দু ধর্মের দেবতা আসলে শয়তান কারণ তাঁরা প্রতিমাপূজা দ্বারা উপস্থাপিত হয়। বাইবেলে বলে যারা মূর্তিপূজায় নিজেদের উতসর্গ করেন তাঁরা প্রকৃতপক্ষে শয়তানের কাছে নিজেকে উতসর্গ করে। আমরা এও জানি যে তাদের দেবতাদের বাইবেলের ঈশ্বরের মতো বৈশিষ্ট্যাবলী নেই। উদাহরণস্বরূপ, তিনি খুব দ্রুত ক্রোধান্বিত হন এবং পুরুষ এবং নারী উভয়ই। এগুলি বাইবেলের ঈশ্বরের মতো বৈশিষ্ট্যাবলী নয়। এবং স্পষ্টভাবে হিন্দু ধর্মের দেবতারা শয়তান কারণ তাদের প্রতিকৃতি হল সাপ এবং নরমুন্ড এবং এরকম সব অমঙ্গল জনক উপস্থাপনা যা বাইবেলের শয়তান কিরকম হয় সেই সংস্করনের সাথে সম্পর্কিত। তাঁরা আক্ষরিকভাবে শয়তানকে পূজা করে - বা তাঁরা একজন নারী দেবতাকে পূজা করেন যা সম্পূর্ণভাবে শাস্ত্রসম্মতভাবে ঈশ্বরের পুরুষ হবার পরিপন্থী। এবং শুধুমাত্র তাই নয়,এমন কি তাঁরা এই দাবিও করেন কৃষ্ণ বা অন্যান্য যে কাউকে তাঁরা বিশ্বাস করেন, সেটি বাইবেলের যীশু নন। তাঁরা পুনর্জন্মে বিশ্বাসী, কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি শারীরিক পুনর্জন্ম একবারই হয়- এটি ধ্রুবসত্য যে মানব জন্ম একবার হয়, মৃত্যুও একবারই হয়। তাঁরা বিশ্বাস করেন যে একমাত্র কর্মের দ্বারা তাঁদের মুক্তি, তাঁদের ভাষায় যার অর্থ হল কর্ম দ্বারা মুক্তি। আমরা বিশ্বাসের দ্বারা মুক্তিতে বিশ্বাসী, কর্মের দ্বারা নয়। মুক্তর জন্য আমাদের কোনও আচার করতে হয় না, আমাদের কোনও জিনিস উচ্চারণ করতে হয় না বা কোনও মন্দিরে যেতে হয় না এবং কোনও আচার পালন করতে হয় না, এবং কোনও যোগা করতে হয়না। তাদের ধারণা কর্মই তাদের মুক্তির পথে নিয়ে যায় কিন্তু আমাদের ধারণা বিশ্বাসের মাধ্যমে আশির্বাদ পেয়েই আমরা মুক্তি লাভ করি। তাঁরা বিশ্বাস করে স্বর্গ এবং নরক ক্ষনস্থায়ী অবস্থা কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি যা স্বর্গ এবং নরক চিরন্তন। এবং একবার তুমি মুক্তি পেলে মানে চিরতরে মুক্তি পেলে, আর একবার তুমি যদি যীশু খ্রীষ্ট কে ছাড়া মর তাহলে তুমি নরকে প্রবেশ করবে এবং নরকাগ্নিতে দগ্ধাবে এবং ধ্বংস হয়ে যাবে।

সুতরাং আমরা দেখতে পারলাম যে হিন্দু ধর্ম একটি মিথ্যা ধর্ম, বাইবেল থেকে সুস্পষ্টভাবে ভিন্ন, স্পষ্টভাবে একটি শয়তানের ধর্ম, খুব শয়তান - এটিই আমার সিদ্ধান্ত। ঠিক আছে, সর্বপ্রথমে এই ধর্মানুশাসন প্রচারের উদ্দেশ্য হল জোয়েল অস্টিন এবং অন্যান্য জগদ্ব্যাপী শিক্ষকের ভুল শিক্ষাকে এড়িয়ে চলা যেনারা বলেছেন, “দেখ, আমদের মধ্যে অনেক মিল আছে এবং আসলে আমরা একই ঈশ্বরকে পূজা করি কারণ আমরা যে নামই ব্যবহার করি না কেন, আমরা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছি।” আপনি জানেন, আমরা গত কয়েকদিনে এই ভুল শিক্ষার বিরুদ্ধে লড়াই করছি এবং বাইবেলের খ্রীষ্টানিটির সাথে এর পার্থক্য নির্দেশ করছি এবং মিথ্যা ধর্মের সাথে ঐক্যবদ্ধ হতে চাইছি না। একে বলা হয় সর্বজনীনতা। সর্বজনীনতা বলতে বোঝায়, “সকল ধর্মকে একসাথে আনা এবং আমাদের ভিন্নতাকে আলাদা করা।” বাইবেল যা শিক্ষা দেয় এটি তা নয় - এটি হল খ্রীষ্টবিরোধীদের মনোভাব যা এটি শিক্ষা দেয়। আশা করি যে এই ধর্মোপদেশ শুনে আপনি হিন্দুদের কাছে পৌঁছাতে চেয়ে বেদবাক্য দ্বারা হৃদয় থেকে আলোড়িত হবেন কারণ এই লোকগুলি অন্ধ হয়ে গেছে। তাঁরা এতেই জন্মেছে। এটি এই নয় যে তাঁরা শুধুমাত্র শয়তানের পূজা করাই পছন্দ করেন। না, তাঁরা এই মিথ্যা ধর্মের মধ্যেই জন্মেছে, বড় হবার সময় থেকেই তাদের এই শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে অন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, তাঁরা প্রতারিত। জোয়েল অস্টিন বলেছেন, “শোনো, তাঁরা সত্যিকারের খুব সুন্দর, দয়ালু লোক।” আমি নিশ্চিত তাঁরা সত্যিই খুব শান্তিপূর্ন, ভালো, দয়ালু লোক - কিন্তু নরকের রাস্তা সদিচ্ছা দ্বারা প্রশস্ত এবং কারোর তাদেরকে বেদবাক্য শোনানো প্রয়োজন এবং যীশু খ্রীষ্টের মহান মতবাদে প্রজ্বলিত করা প্রয়োজন যাতে তারা মুক্তি পেতে পান। কিন্তু যদি আমদের মতবাদ তাদের থেকে গোপন করা হয়, তাদের মনের মধ্যে যে ধর্মবিশ্বাস তাদের অন্ধ করে রেখেছে সেখানে তা হারিয়ে যাবে। এবং তুমি বলছ “ঠিক আছে, আমার কি একবার ভারত ভ্রমণে যাওয়া প্রয়োজন? আমি জানি না আমি তাতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করব কি না।” কিন্তু এখানেই দেখঃ তোমার ভারত ভ্রমণে যাবার প্রয়োজন নেই, তোমার ASU তে ভ্রমণে যাওয়া প্রয়োজন, তোমার দক্ষিনের মন্দিরে যাওয়ার প্রয়োজন। আমার কথা শোনো। আমি কারোর মন জয় করতে দক্ষিনের মন্দিরে কোনও দিন যাই নি এবং প্রতিবেশীদের ভালো করতে কমপক্ষে একজন হিন্দুকে তার দরজা ধাক্কাতে দেখিনি। কখনও না। এবং লোকেরা মিশন এবং সকল ভ্রমণ সম্বন্ধে কত কথা বলে। দেখুন আমি মিশনের বিরুদ্ধে নই - কিন্তু আপনি জানেন কি? এখানেই দেখুন! প্লেনের টিকিট এবং আপনার টাকা বাঁচান। এটি খুবই ভালো, বিদেশে যাওয়া এবং মিশনারী হওয়া, কিন্তু মিশনারী হতে আপনা্র বিদেশে যাবার প্রয়োজন নেই। কারণ জানেন কি? যদি আপনি আপনার বেদবাক্য নিয়ে ভারতীয়দের কাছে পৌঁছাতে চান, যদি আপনি যীশু খ্রীষ্টের বানী নিয়ে হিন্দুদের কাছে পৌঁছাতে চান, আপনাকে শুধুমাত্র দক্ষিনের মন্দিরে যেতে হবে এবং তার চারপাশে দরজা ধাক্কাতে হবে। অথবা, যদি আপনি অন্য হিন্দুদের সাথে কথা বলতে চান যারা সম্ভবত ভালো ইংরাজী বলতে পারে এবং বেশী আগ্রহী, আপনি ASU র ক্যাম্পাসে যেতে পারেন। আমি ভারতের কমপক্ষে একজন লোকের দরজা না ধাক্কে ASU র ক্যাম্পাসে আত্মা বিজয়ের জন্য কখনও যাই নি। হ্যাঁ, তাঁরা সেখানেই আছে। তাঁরা সকলে ছাত্র, এবং তাঁরা সকলে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে। প্রত্যেক জন। আপনি সর্বদা তাদের জিজ্ঞাসা করুন, “ওহে, তোমরা কি পড়ছ?” ইঞ্জিনিয়ারিং। কিন্তু আমি আপনাকে বলছি, আপনি চীনাদের কাছে পৌঁছাতে পারেন, এবং আপনি ভারতীয়দের কাছে পৌঁছাতে পারেন। ASU তে প্রচুর বিদেশী ছাত্র আছে, যদি আপনি তাদের কাছে যান, শুধুমাত্র তাদের মন জয় করতে পারেন, আপনি তাদের ভালো শিক্ষা দিতে পারেন। এবং এখানে এর একটি সুবিধা হল যে এরা সকলে ভালো ইংরাজী বলতে পারে। প্রসঙ্গক্রমে, ভারতের এখন অনেক লোক ইংরাজী বলে।

ইংরাজী ভারতে এখন একটি প্রধাণ ভাষা, তাই এই লোকগুলির সাথে এখন আর ভাষার বাঁধা নেই। এখন এই লোকগুলির কাছে বানী পৌঁছানো যেতে পারে, এবং তাঁরা প্রায়ই এই বানীগুলি শোনে এবং এই মতবাদে আগ্রহী হয়ে ওঠে। কিন্তু কে দোরে দোরে যাবে এবং প্রত্যেক জীবের কাছে গিয়ে এই বানী প্রচার করবে? দেখুন, এই বানী নিয়ে তাদের কাছে যাবার জন্য শুধুমাত্র আপনাকে সাহসের সাথে মুখ খুলতে হবে এবং ঈশ্বরের কথা বলতে হবে। আপনি বলতে পারেন, “দেখ, শুধুমাত্র হিন্দুদের জন্য বিশেষ উপস্থাপনা আমি জানি না।” দেখ, প্রত্যেক ধর্মের জন্য তোমার বিশেষ উপস্থাপনার প্রয়োজন নেই। একই মতবাদ সকলকে রক্ষা করে। আপনি শুধু যান এবং তাদের দেখান যে তাঁরা একজন পাপী, তাদের নরক দেখান এবং তাদের খ্রীষ্টের মৃত্যু, সমাধি এবং পুনরুজ্জীবন দেখান। তাদের দেখান এটি একটি বিনামূল্যের উপহার, তাদের দেখান এটি বিশ্বাস দ্বারা প্রাপ্ত। হতে পারে এই ধর্মপোদেশে কিছু জিনিস আপনি শুনেছেন যা আপনাকে দেখাতে পারে যে আপনি আপনার বানী উপস্থাপনার পর তাদেরকে কিছু জিনিশ নির্দেশ করছেন। আমি সর্বদা এরকম ভাবেই আমার বানী উপস্থাপন করে থাকি। এসব কিছু জটিল করার পরিবর্তে, কেন আপনি পুরো বানীটিই তাদের দিয়ে দিন যা মুক্তি পর্যন্ত ঈশ্বরের ক্ষমতা যা সকলে বিশ্বাস করে, প্রথমে জিউ এবং তারপরে গ্রীকেরা - এবং অবশ্যই হিন্দুরা। আপনি যাই বলুন না কেন যীশুর মৃত্যু, সমাধি এবং পুনরুজ্জীবন ঈশ্বরের শক্তি।

তাই হিন্দুদের মত মনগড়া কোনও মুক্তির পথ আপনাকে দেখাতে হবে না। আপনি শুধু তা দেখান এবং মুক্তির পথ বলে দিন। কিন্তু মুক্তির পথের শেষে, আপনি যখন মসৃণ ভাবে সমস্ত নীতিবাক্যগুলি পড়ে ফেলবেন, সবশেষে তাদের সমস্ত বিশ্বাস যীশুর ওপর করার জন্য আপনি জোড় দেবেন। আপনি যে সব দেবতাদের পূজা করেন তাদের ত্যাগ করতে হবে এবং স্বীকার করতে হবে যে যীশু হলেন প্রকৃত ঈশ্বর। অন্যান্য পটভূমি থেকে বা ধর্ম থেকে আসা কারোর থেকে আপনাকে হিন্দুদের মধ্যে এটা প্রতিষ্ঠা করতে বেশী জোড় দিতে হবে। শেষের দিকে এই ব্যাপারে আরো জোড় দেওয়া প্রয়োজন। আপনি এই নীতিবাক্য শ্বেতাঙ্গদের, কৃশাঙ্গদের, হিস্প্যানিকদের, যে কোনও জাতিকে দিতে পারেন। আপনি যদি একজনকে দিতে পারেন, আপনি অন্যকেও দিতে পারেন কারণ ইনি সামগ্রিকভাবে একই ঈশ্বর, যারা এনার উপাসনা করবেন তাঁরাই সমৃদ্ধ হয়ে উঠবেন। একজনই মেষপালক, একজনই প্রভু, একটিই বিশ্বাস, একটিই ধর্মীয় অনুষ্ঠান, একজনই ঈশ্বর এবং তাই হিন্দুদের মধ্যে আমদের এই নীতিবাক্য প্রচার প্রয়োজন। আপনার ভারত ভ্রমণে যাবার প্রয়োজন নেই। আপনি যদি সেখানে যেতে চান, ভাল কিন্তু সত্যি কথা, এটি এখানেই ঠিক আছে। এমনকি আপনাকে ফোয়েনিক্স, বা স্কটসডেল বা মেসাতেও যেতে হবে না – এটি এখানেই, এটি টিম্পতেই আছে, আমাদের শহরেই আছে। ঠিক এখানে। হাজার হাজার হিন্দু যারা ধর্মবানী শোনার জন্য ব্যাকুল হয়ে আছেন। সেই জন্য আমি প্রতি্টি দরজায় যেতে ভালোবাসি। কারণ সত্যি কথা, এটি আপনাকে সকল লোকের কাছে পৌঁছাবার অনুমতি দেয়, একজনের মধ্যেই আপনাকে স্বদেশীয় এবং বিদেশী মিশনারী হবার সুযোগ করে দেয়, শুধুমাত্র বাইরে গিয়ে কিছু বাড়িতে পৌঁছাতে হবে। কিন্তু এখন এই বিষয় থেকে বেরোনো যাক। আমার মনে হয় হিন্দুদের (এবং হিন্দু সহ অন্যান্য জাতীর) মুক্তির পথে প্রধাণ প্রতিবন্ধকতা হল যে আমরা আমেরিকানরা ঈশ্বরহীন হয়ে সব ঐশ্বরিক বিধান নষ্ট করে ফেলেছি এবং বিশ্বব্যাপী আমরা যেভাবে আমাদের জীবন কাটাচ্ছি এবং দুষ্ট হয়ে উঠেছি। আমরা আমদের ঐশ্বরিক বিধান নষ্ট করে ফেলেছি। এটিই আমাদের প্রধাণ প্রতিবন্ধকতা, এই জন্যই মানুষেরা যেমন হিন্দুরা বা মুসলমানেরা বা অন্য ধর্মের মানুষেরা আমাদের ধর্মবানী আমান্য করতে পারছে। এর কারণ আমরা আমেরিকানরা আমাদের ঐশ্বরিক বিধান নষ্ট করে ফেলছি।

বাইবেল তাঁর ডিউটেরোনমির অধ্যায় নং 4 এ কি বলেছেন দেখুন। এটি বিদেশী ধর্মপ্রচারকদের জন্য প্রযোজ্য। ডিউটেরোনমির 4:5 দেখুন এতে বলছে, “দেখুন আমি আপনাকে নিয়ম নীতির শিক্ষা দিয়েছি, এমনকি আমার প্রভু আমার ঈশ্বর আমাকে আদেশ দিয়েছেন, যে জায়াগায় তুমি থাকবে সেখানে তুমি এগুলি পালন করবে। তাই সেখানে বিরাজ কর এবং তাদের পালন কর; এটি দেখুন, “কারণ ধর্মের দৃষ্টিভঙ্গীতে এটিই তোমার জ্ঞান এবং বোধশক্তি”। তিনি কি বলছেন? যখন কোন সম্প্রদায় দেখছে যে আপনি ঈশ্বরের বানী পালন করছেন এবং ঈশ্বরের আদেশের কথা অনুসরণ করছেন, আপনি তাদের চোখে জ্ঞানী প্রতিপন্ন হবেন। তাঁরা এগিলি দেখতে পাবে এবং সেগুলি তাদের অপর প্রভাব ফেলবে। এটি তাদের কাছে আপনাকে জ্ঞানী প্রতিপন্ন করাবে। এটি এমন কিছু করবে যা তাদের শ্রদ্ধা অর্জন করবে। 6 নম্বর শ্লোকের মাঝামাঝি তিনি বলেছেন “নিশ্চিতভাবে এই মহান সম্প্রদায় একটি জ্ঞানী এবং বিচার বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের। কি কারণে এই সম্প্রদায় এত মহান, ঈশ্বর তাদের খুব কাছে বিরাজ করছেন, যেহেতু আপনি যে কারণেই ডাকুন প্রভু আমাদের ঈশ্বর সকল জিনিসের মধ্যেই আছেন। এবং কেন এই সম্প্রদায় এত মহান, তাদের বিধি নিয়ম সকল আইনের মত এত ন্যায়নিষ্ঠ, যা আমি এই দিনের আগে স্থির করে দিয়েছি?” এখন এখানেই আমার প্রশ্নঃ আপনি কি মনে করেন যে ভারতের কেউ একটি হলিউডের চলচ্চিত্র দেখে বলে উঠল, “ওঃ আমেরিকার মত এরকম ন্যায়নিষ্ঠ জাতী আর কে আছে? ওঃ, কোন জাতী এরকম আছে ঈশ্বর যাদের খুব কাছের মানুষ? কোনোজাতী আছে যাদের এরকম বিচক্ষন এবং ন্যায়নিষ্ঠ নিয়ম বিধি আছে?” না, তাঁরা এটিকে দেখেন এবং আবর্জনা মনে করেন, এবং তারপর আপনি কি জানেন তাঁরা আমাদের সংস্কৃতি সম্বন্ধে কি ভাবেন? এটি একটি আবর্জনা। আপনি কি জানেন আমাদের ধর্ম সম্বন্ধে তাঁরা কি ভাবেন? এটি একটি আবর্জনা। এখন দেখুনঃ এটি শুধুমাত্র আমেরিকার জন্য নয় কারণ অবশ্যই আমরা আমাদের সরকারের নির্বুদ্ধিতাকে বা হলিউডের নির্বুদ্ধিতাকে বা ম্যাডিসন অ্যাভিনিউ এর নির্বুদ্ধিতাকে নিয়ন্ত্রন করতে পারি না। এদের ওপর আমাদের কোনও নিয়ন্ত্রন নেই, কিন্তু কমপক্ষে আমরা নিজেদের এবং আমদের পরিবারকে এবং আমদের চার্চকে নিয়ন্ত্রন করতে পারি। আমরা কমপক্ষে ধর্মানুশাসনের একটি প্রজ্বলিত শিখা হয়ে উঠতে পারি, যা শুধু ঈশ্বরের আশির্বাদ বা মুক্তির সত্যতা প্রচার করে না, এমন একটি জীবন দেয় যা মানুষ শ্রদ্ধা করে। তখন তাদের, আমরা ঈশ্বরের বিষয়ে যা বলব সেই ব্যাপারে একটি আগ্রহ তৈরী হবে। যদি আপনি একটি অসৎ পার্থিব জীবন যাপন করেন তাহলে আপনি যখন ঈশ্বরের কথা বলবেন তা কেউ কেন শুনবেন? এবং তাঁরা নিজের মনে ভাববেন, “সম্ভবত আমরা তোমাদের থেকে বেশী ন্যায়পরায়ণ। কেন আমরা যীশু খ্রীষ্টকে গ্রহন করব, যাতে আমরা তোমাদের মতো জীবন যাপন করতে পারি? কেন আমরা যীশু খ্রীষ্টকে গ্রহন করব, যাতে আমাদের নারীরা দুশ্চরিত্রা, ইতর, বেশ্যাদের মতো পোশাক পরতে পারে? কেন তাঁরা গ্রহণ করবে? তাঁরা এটিকে দেখবে এবং বলবে এটি অনৈতিক। তাঁরা আমাদের সংস্কৃতির দিকে তাকাবে আর বলবে এটি ধর্মবিরোধী। তোমাদের জীবন যাপনের জন্য কোনও নৈতিকতা নেই, কোনও মান নেই, কোন বিধি বিচার নেই”। এবং মুক্তি পাবার পথে এটিই তাদের প্রধাণ প্রতিবন্ধকতা কারণ আমেরিকানরা সেখানে যায় এবং দুর্নীতিপরায়ণ হয়ে যায়।

আপনি জানেন আমি অভিনেতা রিচার্ড গেরে এর সম্বন্ধে কিছু গল্প পড়েছিলাম তিনি ভারতে গিয়েছিলেন এবং নিজের স্ত্রী ছাড়া অন্য এক মহিলাকে প্রকাশ্যে চুম্বন করার জন্য গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তিনি প্রকাশ্যে কোনও এক মহিলার ঠোঁটে চুম্বন করেছিলেন যিনি তার স্ত্রী নন। আমরা এই ব্যাপারটিকে অনৈতিক বলে মনে করি। আপনি কি মনে করবেন, এখন যদি কোনও মহিলা এখানে আসেন এবং আমি আমার স্ত্রী ছাড়া অন্য কোনও মহিলাকে চুম্বন করি? আপনি আতঙ্কিত হয়ে পরবেন। আপনার আতঙ্কিত হওয়া উচিত, কিন্তু আমরা এরকম টিভিতে দেখি, চলচ্চিত্রে দেখি, কিন্তু আমরা সেরকম কিছু মনে করি না। এটি একদম ঠিক আছে। তিনি এটি করেছিলেন এবং গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। কেন? কারণ আসলে তাদের সংস্কৃতি এই ব্যাপারে অনেক বেশী ঐতিহ্যগত এবং কিছু নির্দিষ্ট ব্যাপারে অনেক বেশী নৈতিক। ঈশ্বর আমাদের মত এই আমেরিকান খ্রীষ্টানদের সাহায্য কর যখন আমরা কোনও নৈতিকতা এবং মান ছাড়া জীবন যাপন করে যীশু খ্রীষ্টের নাম ভূলুন্ঠিত করি - শুধুমাত্র এরকম জীবন যাপন যা ধর্মবিরোধী এবং অশুদ্ধ এবং অশুচি। সারা পৃথিবী এটি দেখে এবং তাঁরা এটি মেনে নিতে পারে না। কেন তাঁরা মেনে নেবে? আমরা ধর্মের বাণী নিয়ে কি করে হিন্দু এবং মুসলমানদের কাছে পৌঁছাব যদি আমরা একটি শুদ্ধ জীবন যাপন না করি? তাঁরা আমাদের দিকে দেখবে এবং বলবে, “কেন আমি এরকম একটি ধর্মকে অনুসরণ করব? আমার স্ত্রীর অঙ্গে আপনার স্ত্রীর তুলনায় বেশী পোশাক আছে। আপনার স্ত্রী অর্ধনগ্ন। আপনার স্ত্রী ছোট্ট নিম্ন পোশাকে এবং সরু ফিতার মতো উপরের পোশাক পরিহিত” ঠিক আছে, মুসলমান মহিলারা একটু বেশীই পোশাক পরে।। ঠিক আছে। দেখুন, আমরা একটু কম পোশাক পরি। ভেবে দেখুন, আমাদের এই দুয়ের মাঝামাঝি কিছু খুঁজে বের করতে হবে। বাইবেলে যেরকম বলা আছে আমাদের সেরকম পোশাক অনুসরণ করা প্রয়োজন।

বাইবেলের ডিউট্রনমি 4 এ পরিস্কার বলা আছে আমরা কিভাবে অন্য জাতীর কাছে ধর্মের বানী নিয়ে পৌঁছাবো ঈশ্বরের নীতির একটি প্রতিকৃতি অনুসরণ করে এবং ঈশ্বরের ন্যায়পরায়ণতা অনুসরণ করে। আপনি এবং আমি উভয়েই জানি যে হিন্দু ধর্মগ্রন্থে যা বলে তার থেকে বাইবেল অনেক ভাল। আমরা জানি যে বাইবেল অনেক মহান যা কোরাণ কোনদিন হতে পারবে বলেও মনে করি না। আমরা এটি জানি, কিন্তু প্রশ্ন হল, তাঁরা যখন আমাদের জীবনযাত্রার দিকে তাকাবে তাঁরা কি এটি দেখতে পাবে, বা তাঁরা কি আমাদের মধ্যে হলিউডের একটি ছায়া দেখবে? এটির সম্বন্ধে ভাবুন। যদি আমরা আমদের জীবনে মধ্যে দিয়ে যাই এবং একটি সঠিক পথে আমাদের জীবন যাপন করি তাহলে কি তাঁরা আমদের মধ্যে হলিউড, ম্যাডিসন অ্যাভিনিউ, ইত্যাদির ছায়া দেখতে পাবে না এই বইওটির একটি ছায়া দেখবে কারণ বাইবেল বলছে যে যদি তাঁরা আমাদের এই বইটির অনুকরণে দেখে, তাহলে তাদের চোখে আমরা অনেক বেশী জ্ঞানী প্রতিপন্ন হব। তাঁরা বলবে, “আপনি কি জানেন যদিও আমরা একটি ধর্মে বিশ্বাসী, তবুও বলব এই লোকগুলি একটি ন্যায়বিচারপূর্ণভাবে তাদের জীবন যাপন করে যা অর্থপূর্ণ এবং সেটি হয় নৈতিক এবং সৎ ও পরিচ্ছন্ন। কিন্তু এটিই যথেষ্ট নয়। বন্ধুগণ, আমি জীবনযাত্রার প্রচার করছি না। সেটি যথেষ্ট নয়। তাহলে আপনাকে বাইবেল খুলতে হবে এবং দৃঢ়ভাবে আপনার মুখ খুলতে হবে এবং যীশুর বাণী প্রচার করতে হবে। আপনার দুটোই করতে হবে, শুধুমাত্র বসে থাকবেন আর বলবেন, “ওঃ, আমার ঐশ্বরিক বিধান কোনও ব্যাপার নয়”। যখন আপনি ঈশ্বরহীন একটি পাপাসক্ত জীবিন যাপন করবেন, অন্য সংস্কৃতির লোকেরা আপনার দিকে তাকাবেন কারণ তাঁরা আমেরিকার মত ঈশ্বরহীন এবং পাপাসক্ত নন। এটি খুবই দুঃখের যে আমাকেও এটি বলতে হচ্ছে। এখন অন্যান্য জাতী আমাদের দিকে তাকায়। এটি সত্যি। তাঁরা তাকান। এই ব্যাপারটি ভাবুনঃ তাঁরা আমেরিকার দিকে তাকান এবং ভাবেন যে আমরা হচ্ছি সমকামিতার কেন্দ্রস্থল (সমকামিতা)। আমি কেন একজন মিশনারীর কথা শুনব যিনি সমকামীদের দেশ থেকে এসেছেন। “আমি সদোম এবং গোমোরা দেশ থেকে এসেছি, এবং আমি তোমাদের যীশুর বাণী শোনাতে এসেছি। তাঁরা বলবেন, “যীশুকে ভুলে যাও! আমরা তাঁর সম্বন্ধে শুনতে চাই না!” কারণ তাঁরা সমকামিতা (পুরুষদের সমকামিতা) এবং অশ্লীলতা চায় না। খ্রীষ্টান হিসাবে আমাদের এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো উচিত এবং এই সকল পাপ ধ্বংস করা এবং এর বিরুদ্ধে লড়াই করা এবং এর থেকে নিজেদের দূরত্বে রাখা উচিত। কিন্তু সমস্ত খ্রীষ্টান কি বলছেন, “ওঃ,সব মানবের জন্য এই পন্থা আনো।” না! আমাদের ঐ বিষয়গুলি থেকে দূরে সরিয়ে রাখা উচিত। “ওঃ, তাহলে আমরা মানুষের কাছে কিভাবে পৌঁছবো? যীশুর বানী নিয়ে আমাদের দীনহীন মানুষের কাছে পৌঁছতে হবে।” এই, কোটি কোটি হিন্দুর কি হবে যারা নরকের দিকে ধাবমান?! তাঁরা ভাবছেন যে যদি আপনি এই সমস্ত অপার্থিব আবর্জনা চার্চের ভিতর নিয়ে আসেন তবে আপনি একজন পতিত পাপি। কেন আপনি তাদের গুরুত্ব দিচ্ছেন না? (হিন্দুজাতি) তার বদলে, আমরা সমকামী হীন ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছি যদিও এটি তাদের ক্ষেত্রে খুবই দেরী হয়ে গেছে। কিন্তু, ওঃ, আমরা কিভাবে এই সুন্দর কল্পনার জগতে সে ব্যাপারে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। এই পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষের কি হবে যারা হিন্দুদের মিথ্যা ঈশ্বরকে ভক্তি করেন? কেন আপনি তাদের ত্রান করতে চান না? তারা মন্দব্যক্তি হওয়ায় আপনার প্রতি প্রসন্ন হন না বা একগুচ্ছ দণ্ডের চারপাশে ঝুলতে থাকেন,এবং আপনাদের আমি বলছি, হলিউডের মন্দলোকেদের থেকে নিজেদের দূরে রাখতে।

আমাদের বিশ্বের এইসব নিচ-ইতর ব্যক্তির থেকে তফাতে থাকতে হবে। যখন বাইরে বেরিয়ে যান আর সেই অন্যায়,অপ্রবিত্র,পূতগন্ধময়জীবন বেছে নেন যেখানে এবং আপনার মন আবর্জনায় ভরে ওঠে তখন আপনি যদি আশা করেন ভালো হবে আর যীশুর বাণীর আলো আপনার পথ দেখাবে তা সম্ভব নয়। আমাদের স্বরূপকে বদলাতে হবে একজন খ্রীষ্টান হিসাবে যে বিশ্বের সমস্ত জাতি আমদের দিকে দেখবে, আর বলবে, “তোমরা জানো এরা জ্ঞানী মানুষ।” ঈশ্বর এই মানুষগুলির খুব কাছে বাস করেন। আমি শুনতে চাই তারা কি বলেন। ঈশ্বর ওল্ড টেষ্টামেন্ট-এ উপদেশ দিচ্ছেন যে যদি তারা ঈশ্বরের নিয়ম এবং তাঁর নির্দেশিত পথে জীবনযাপন করেন তবে মানুষ সমস্ত বাধাবিঘ্ন অতিক্রম করতে পারবেন। ঈশ্বর সম্বন্ধে জানতে চেয়ে সমস্ত পৃথিবীর মানুষ জড়ো হন ইজরায়েল দেশে। উদাহরণস্বরূপ, শিবার রানি- এখানে এসে খুবই অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। “বাঃ, এটা খুবই ভালো। এই নিয়মগুলি, এই জীবনরীতি এবং বিচারবোধ গুলি সত্যই বিচক্ষনতার। তিনি অনুপ্রানিত হয়ে দেশে ফিরেছিলেন এবং তাঁরা দেশবাসীর জন্য খুশীর খবর বহন করেছিলেন। আমেরিকার এরকমই হওয়া উচিত, এবং এই দেশ যারা চালাচ্ছেন তাদের আমরা নিয়ন্ত্রন করতে পারি না, কিন্তু কমপক্ষে আমরা স্বাধীন ব্যাপটিস্টস হিসাবে – কমপক্ষে আমরা চার্চে বা কমপক্ষে আপনি এবং আপনার পরিবার চার্চে যে সব লোকেদের সাথে আপনার দেখা হবে তাদের কাছে একটি ভাবমূর্তি উপস্থাপন করতে পারবেন যে , “ দেখ, আমরা আলাদা। আমরা খারাপ লোক নই। আমরা আসলে বাইবেলকে অনুসরণ করা বিশ্বাস করি। আপনি যখন যীশুর বাণী মুখে প্রচার করবেন তখন এই স্বাক্ষ্যপ্রমাণগুলি আপনাকে অনেক সাহায্য করবে। আপনার দুটোই প্রয়োজন। আপনি শুধুমাত্র সেখানে বসে থাকবেন আর বলবেন, “ওঃ হ্যাঁ, আমি আমার জীবন যাপন করব এবং তাঁরা সেটি দেখবে।” না। আপনার জীবন যাপন করুন এবং ঈশ্বরের বাণী প্রচার করুন। কিন্তু আপনি যদি ঈশ্বরের আদেশ অমান্য করে ঈশ্বরের বাণী প্রচার করেন তাহলে সেটি হবে একটি খারাপ নিদর্শন। তাহলে তাঁরা প্রভাবিত হবেন না। তাঁরা হবেন না। ধার্মিকতা একটি জাতির পবিত্রতা প্রকাশ করে, কিন্তু পাপ যে কোনও লোকের কাছে কলঙ্ক।” আপনি কি জানেন “কলঙ্ক” মানে কি? এর মানে লোক এটির দিকে তাকাবে, এবং তাঁরা শুধু মাথা নাড়বে। আমরা এখন সারা পৃথিবীর কাছে হাসির খোরাক। এগিয়ে যান এবং এর প্রতিরোধ করুন। তোমাদের মধ্যে কেউ এখনি … আমি বাজী ধরতে পারি যে এই ঘরের মধ্যেই কেউ ভাবছেন, “ওঃ, আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না শব্দটি সে বলল “লাঠি! ওঃ, ওঃ!” এখান থেকে বেড়িয়ে যাও এবং আর কোনও দিন ফিরে এসো না। বেড়িয়ে যাও! যদি তোমরা এখানে বসে থাকো এবং দুর্বল, অপমানিত, বিকৃত লোকেদের রক্ষা করো তবে বেড়িয়ে যাও কারণ আজকাল তোমরাই আমেরিকার সমস্যার কারণ। এখান থেকে চলে যাও! এখান থেকে বেড়িয়ে যাও! আমি তোমাকে আশেপাশে দেখতে চাই না। আপনি বলছেন, “ ওঃ, আমি ভীত কারণ যখন আপনি সমকামীদের বিরুদ্ধে প্রচার করবেন, আপনি মানুষের সমর্থন হারাবে”। আমার বিশ্বাস মানবতার বিরুদ্ধে ধর্মীয় বাদানুবাদে আমি মানুষকেই হারিয়ে ফেলি। আমার আশা যদি আপনি আপনার মধ্যের কলঙ্ক কালিমা মেনে নেন তবেই আপনি তা থেকে মুক্ত হবে্ন। আমি চাই না আপনি আমার সন্তানদের সান্নিধ্যে আসুন কারন আমি আপনার সম্মন্ধে সন্দিহান যে যদি আপনি তাদের প্রতিরোধ করতে যান। ইহাই দুর্বলতা, ইহাই ভুল, ইহাই মলিনতা। বেরিয়ে আসুন। পৃথিবী এই পাপকে গ্রহন করে না। শুধু আমেরিকা যে এই কালিমাকে গ্রহন করে। বাকী পৃথিবী আপনার দিকে তাকিয়ে আছে আর ভাবছে আপনি পরিত্যক্ত। কিভাবে আমরা পৌঁছবো যীশুর জীবনী ও বানীর কাছে যদি না আমরা আমাদের মধ্যেকার শঠতা থেকে দূরে থাকি এবং এই বইকে জীবনের সা্রসত্য বলে মানি। এই বইতে মানব সাম্মন্ধে আপনার ধারনার প্রতিচ্ছবি আমায় দেখান এবং আমি আপনাকে দেখাবো আমার ধারনার প্রতিচ্ছবি।

আসুন আমরা মাথা নত করি এবং প্রার্থনা করি। পিতা, যীশুর জীবনী ও বানী আমাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমরা আপনার কাছে কৃতজ্ঞ। প্রভু, ইহাই শুভ সংবাদ। আমাদের এই ভাবনা পৃথিবীর কাছে পোঁছে দিতে হবে। প্রভু,কোটি কোটি হিন্দুর কাছে আমাদের পৌঁছে দেওয়া প্রয়োজন। প্রভু,তারা সুরক্ষিত নয়। জোয়েল অস্টিনের যা বলেছেন আমি তাঁর পরোয়া করি না, প্রভু, ওরা সুরক্ষিত নয়, আমরা উভয়ই তা জানি। আমি প্রার্থনা করি যে তুমি এই মতবাদের দীপ্তি এবং ঔজ্বল্য প্রকাশে আমা্দের সাহায্য করবে। পৃথিবীর অন্য দেশের কাছে আমরা যেন শ্রদ্ধার পাত্র হই সেই জীবন যাপন করতে আমাদের সাহায্য কর। উত্তরে এবং দক্ষিন ভাগে প্রিয় মানুষদের মধ্যে যীশুর এই মুক্তির মতবাদ ছড়িয়ে দিতে আমাদের সাহায্য কর। আমরা তোমার নামেই এই কথাগুলো বলব। শান্তি।

1 comment:

Unknown said...

এবং গসপেল আগে সমস্ত জাতির মধ্যে প্রচার করা হবে. ঈশ্বরের প্রশংসা!